পটুয়াখালীতে অবশিষ্ট খাবার কুকুরকে খাওয়ানোর অভিযোগে মসজিদের ইমামকে ঝাড়ু পেটা করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার ( ২ জানুয়ারি) রাতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এসে এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন ওই ইমাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের শিংরাকাটি গ্রামের আল মদীনা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলো কালিশুরী ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও মসজিদের সহ-সভাপতি আবদুর রব। তারা মসজিদে আসার আগে কোন নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হলে মসজিদ থেকে ইমাম তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী ইমাম বলেন, প্রায় ৪ মাস আগে সিংহেরাকাঠী আল মদীনা জামে মসজিদের ইমাম হিসাবে চাকরি হয়। ডিসেম্বর মাসে শারীরিক অসুস্থতার জন্য একদিন ফজরের আজান দিতে বিলম্ব হয়েছে। এতে মসজিদে এসে আমাকে অনেক গালমন্দ করেন জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবদুর রব। পরে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা । বিষয়টি মসজিদ কমিটির সবাইকে জানাইলে তারা মিমাংসার কথা বলেন। তবে কোন সমাধান হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকলে জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে আমার জন্য খাবার পাঠানো হয়েছে। তবে আমি তাদের দেয়া সম্পুর্ন খাবার খাইতে পারি নাই। পরে অতিরিক্ত খাবার একটা পোষা কুকুরকে দিয়েছি। এতে দুপুর ২ টার দিকে মসজিদে এসে আমাকে ঝাড়ু পেটা করেন জাহাঙ্গীর। এসময় তার স্ত্রী এসে বাধা দেয়। পরে আওয়ামিলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও মসজিদের সহ-সভাপতি আবদুর রব এসে আমাকে লাঞ্ছিত করেন মসজিদ থেকে বের করে দেয়। তিনি এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন এবং এমন ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আল মদীনা জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ইউনুস মিয়া বলেন, আমি বাড়িতে থাকি না, তবে ভিডিওতে দেখেছি, ঝাড়ু নিয়ে একজন ইমাম সাহেবের কাছে যাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
অভিযুক্ত মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি ওই ইমামের পিছনে এক মাস পর্যন্ত নামাজ পড়িনা। তবে মসজিদ কমিটির অনুরোধে আমি ইমাম সাহেবকে খাবার দিয়েছি। না খাইলে আমার খাবার ফেরত দিবে, কুকুরকে দিয়েছে কেন? এতে আমি গালমন্দ করেছি। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতাকে ইমামকে ঝাড়ু-পেটা ও মারধর বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাটি তার অন্যায় হতে পারে বলে স্বীকার করেছেন।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল হোসেন বলেন, এবিষয়ে এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।